১ টাকার কয়েনে কোটিপতি! - Ak Freelancing Park
Notification texts go here Contact Us Download Now!
banner

১ টাকার কয়েনে কোটিপতি!

অনলাইন মাঝে ভাইরাল একটি দাবি - “১৯৮৫-এর আগের ১ টাকার কয়েন বিক্রি করে ৯.৯৯ কোটি টাকা পাওয়া যায়” - আসলেই কি সত্য?
AKFP
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
১ টাকার কয়েনে কোটিপতি!
১৯৮৫-এর আগের ১ টাকার কয়েন থাকলে ৯ কোটি পাবেন-মিথ নাকি সত্য?
অনলাইন মাঝে ভাইরাল একটি দাবি - “১৯৮৫-এর আগের ১ টাকার কয়েন বিক্রি করে ৯.৯৯ কোটি টাকা পাওয়া যায়” - আসলেই কি সত্য? এমন পোস্টের পেছনে মিথ, সতর্কতা ও বাস্তব ক্যান্ডারি-এর বিশ্লেষণ।



বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন এক দাবির ভিড় দেখা যাচ্ছে যেখানে বলা হচ্ছে - “যদি আপনার কাছে ১৯৮৫ সালের আগের ১ টাকার কয়েন থাকে, তাহলে আপনি তা বিক্রি করে ৯.৯৯ কোটি টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন”। এটা আকৃষ্টিং শোনায়: ছোট একটি কয়েন, কিন্তু বড় অঙ্কের প্রতিদান। অনেকেই এই কথায় আশাবাদী হয়ে ঘর-আলমারি, পুরনো বাক্সগুলো পরীক্ষা করছেন। কিন্তু আসল অবস্থাটা কি?

এই খবরের উৎস ও প্রচার:
News18 বাংলা এক রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে, অনলাইনে এমন কয়েকটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে পুরনো ১-টাকার কয়েন "নিলামের মাধ্যমে" বিপুল দামে বিক্রি হতে পারে। কিন্তু Fact-Watch, একটি ফ্যাক্টচেকিং সাইট, বলেছে এই ধরনের একটি “৯.৯৯ কোটি টাকার” দাবি ভুয়া। 

তারা জানায় যে, OLX-এ বা অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে এমন কোনো বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়নি যা এই উচ্চ মূল্যের দাবি সমর্থন করে। 


কয়েনের প্রকৃত মূল্য:
পুরনো বাংলা (বাংলাদেশের) ১-টাকার কয়েনের কিছু মডেল এবং বছর আছে যা সংকলকদের মধ্যেও জনপ্রিয়, কিন্তু তাদের বাজারমূল্য “কোটি টাকা” পর্যায়ে নয়। উদাহরণস্বরূপ, OldCoinOnline নামক নুমিস্তা বা কয়েন তথ্য সাইট বলেছে ১৯৭০-৭৭ সালের কিছু ১-টাকার কয়েনের বর্তমান মূল্য “অনচলিত হলে” শতকুশো বা হাজারের দিকেই হতে পারে। 

এছাড়া, ভারতে ব্রিটিশ যুগের কিছু ১-রুপির মুদ্রা নিয়ে অনলাইন সংবাদ এসেছে যা বিরল এবং সংগ্রাহকদের মধ্যে দাম বেশি, কিন্তু সেটি “ভারতীয় রূপি” এবং বাংলাদেশি “টাকা” নয়। উদাহরণস্বরূপ, News18 বাংলা তাদের রিপোর্টে বলেছে ১৮৮৫ সালের ব্রিটিশ ভারতের ১ রূপি কয়েন ভারী দামে বিক্রি হয়েছে। 

আরও একটি তথ্য – একটি ইউটিউব ভিডিওতে বলা হয়েছে ১৯৮৫ সালের ১-টাকার কিছু কয়েন মূল্য প্রায় ৬০,০০০ টাকা হতে পারে। কিন্তু এটি কোটি রেঞ্জ নয়।


প্রতারণার সম্ভাবনা:
কিছু নিউজ সোর্স বলছে, এই “কোটি টাকার পুরানো কয়েন” ধারণা অনেকটা চক্রের সুবিধা বহন করে - যাদের কাছে সাধারণ মানুষ পুরোনো কয়েন আছে, তাদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। 

বিশেষভাবে, Fact-Watch স্পষ্টভাবে বলেছে যে এমন একটি পোস্ট “মিথ” এবং “ভুয়া খবর” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

অর্থাৎ, কোনো শখদার কিংবা সাধারণ মানুষ যদি ফোনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কথা শুনে দ্রুত আচরণ করে (উদাহরণস্বরূপ, OLX-এ নিবন্ধন করে কয়েন বিক্রি করার পরিকল্পনা), তাহলে তারা প্রতারণার শিকার হতে পারে।



সত্যিকারের কী করা উচিত?
যদি আপনার কাছে পুরনো কয়েন থাকে:
1. প্রথমে দাম জানতে চান: স্থানীয় কয়েন বা মুদ্রা সংগ্রাহক, নুমিজম্যাটিক ক্লাব বা বিশ্বাসযোগ্য কয়েন ডিলার-এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
2. অনলাইন মার্কেটপ্লেসে “নিলাম” করার আগে সাবধান থাকুন: যেসব বিজ্ঞাপন “কোটির ফল”ের দাওয়াই দিচ্ছে, তাদের সত্যতা যাচাই করুন।
3. ফ্যাক্টচেকিং সাইট (যেমন Fact-Watch) পর্যালোচনা করুন - মিথ এবং গুজব অনেক সময় দ্রুত ছড়ায়।
4. যদি বিক্রি করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে প্রমাণসঙ্গত দস্তাবেজ তৈরি করুন: কয়েনের ছবি, তার বছর, মিন্টমার্ক (যদি থাকে), অবস্থা ইত্যাদি তথ্য।

উপসংহার:
আপনার বর্ণনা করা “১৯৮৫ সালের আগের ১-টাকার কয়েন বিক্রি করে ৯.৯৯ কোটি টাকা পাওয়া যাবে” বলাটা ভুয়া দাওয়াই। এটি বিশ্বাসযোগ্য উৎস বা নুমিজম্যাটিক মার্কেট-ডেটার দ্বারা সমর্থিত নয়। এটি অনেকটা গুজব এবং সম্ভাব্য প্রতারণার অংশ হতে পারে। যদি সত্যিই আপনার কাছে পুরাতন কয়েন থাকে, তাহলে ঘটনাটিকে ধীরে এবং বিচারবুদ্ধিতে দেখুন - এবং প্রফেশনাল মূল্যায়ন নেওয়ার দিকে নজর দিন।

FAQ (প্রশ্নোত্তর):
প্রশ্ন ১: সত্যিই কি ৯.৯৯ কোটি টাকার অফার আছে এমন পুরাতন কয়েনে?
উত্তর: না, এমন কোনো বৈধ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফ্যাক্টচেকাররা এটি ভুয়া দাবিই বলে চিহ্নিত করেছেন। 

প্রশ্ন ২: ১৯৮৫-এর আগের সব ১-টাকার কয়েন কি মূল্যবান?
উত্তর: সব কয়েনই মূল্যবান নয়। কিছু কয়েন সংগ্রাহকদের জন্য বেশি মূল্যবহন করতে পারে, কিন্তু তারা সাধারণত লাখ লাখ বা কোটি টাকার “অ্যান্টিক ধন” হিসেবে নয়, বরং হাজার বা কয়েক লাখ টাকার স্তরে হতে পারে (বা তারও কম) - নির্ভর করে বছর, প্রিন্ট, অবস্থা এবং মিন্টমার্ক-এর উপর।

প্রশ্ন ৩: আমি কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি আমার কয়েনের আসল মর্যাদা?
উত্তর: আপনি একটি প্রফেশনাল কয়েন ডিলার, নুমিজম্যাটিক সার্ভেয়ার বা কয়েন গ্রেডিং সংস্থার সাহায্য নিতে পারেন। তাদের মাধ্যমে কয়েনের সাল, মিন্ট এবং অবস্থা নির্ধারণ করা যায় এবং তার ভিত্তিতে বাজারমূল্য অনুমান করা যায়।

প্রশ্ন ৪: যদি আমি বিক্রি করতে চাই, কোন প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ?
উত্তর: জনপ্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য নুমিজম্যাটিক মার্কেটপ্লেস বা নিলাম সাইট (যেমন ভয়েসনিস্টা, নুমিস্তা, আন্তর্জাতিক নিলাম হাউস) নিরাপদ বিকল্প হতে পারে। স্থানীয় কয়েন-গ্রুপ বা ক্লাব থেকেও বিক্রি করার অপশন আছে। তবে OLX-এর মতো সাধারণ মার্কেটপ্লেসে সাবধানতা জরুরি - প্রতারণার ঝুঁকি থাকতে পারে।



পোস্ট ট্যাগ:
পুরাতন কয়েন, ১ টাকার কয়েন, নুমিজম্যাটিক, গুরুতর মিথ, প্রতারণা, দুষ্প্রাপ্য কয়েন, কয়েন বিক্রি, antique coin, ১৯৮৫ সালের কয়েন, ফ্যাক্টচেক, কয়েন সংগ্রাহক, ক্যাটারিসঞ্চয়

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.