শেরপুরের একটি বিদ্যালয়ে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকৃতির জেরে দুই শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শিক্ষামূল্যবোধ ও শিক্ষক-শিক্ষকের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে।
আজকাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা যেমন বাড়ছে, তেমনই এর নিয়ন্ত্রণ ও নীতিমালা না থাকলে সমস্যা দেখা দেয়। শেরপুরের একটি বিদ্যালয়ে সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে যেখানে স্কুলের অফিসিয়াল ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চাইতে গিয়ে দুই শিক্ষক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
একজন শিক্ষক অফিসিয়াল ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চেয়ে অনুরোধ করেন, কিন্তু অন্যজন তা শেয়ার করতে সম্মত হননি। প্রথমে মৌখিক বাকবিতণ্ডা, পরে তা ধাক্কাধাক্কি ও শারীরিক সংঘর্ষে রূপ নেয় বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ও শিক্ষকতার নৈতিকতা নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন-
শিক্ষক যেখানে সংস্কৃতি, শৃঙ্খলা ও মানসিক স্থিতির উদাহরণ হবার কথা, সেখানে এমন আচরণ ছাত্রদের সামনে নেতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করে।
উপসংহার:
ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড - একটি ছোট বিষয়। কিন্তু নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি যখন থাকে, তখন তুচ্ছ বিষয়ও বড় সংকটে রূপ নিতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে রোল-মডেল হিসেবে থাকেন। তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি মানবিকতা, সংযম ও শৃঙ্খলা রক্ষা - এটাই হওয়া উচিত শিক্ষকের প্রকৃত পরিচয়।
FAQ:
প্রশ্ন: স্কুলের ওয়াইফাই কি সব শিক্ষকই ব্যবহার করতে পারেন?
উত্তর: তা প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন। অনেক স্কুলে অ্যাডমিন কন্ট্রোল থাকে এবং নির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যায় না।
প্রশ্ন: পাসওয়ার্ড না দেওয়াটা কি অপরাধ?
উত্তর: অপরাধ নয়; তবে অফিসিয়াল নিয়ম থাকলে তা অনুসরণ করা উচিত এবং মৌখিক বিরোধ না বাড়িয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত।
প্রশ্ন: এমন ঘটনা ছাত্রদের উপর কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: ছাত্ররা তাদের শিক্ষককের আচরণ থেকে শিক্ষা নেয়— তাই অশান্তি বা সংঘর্ষ মানসিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পোস্ট ট্যাগ:
শেরপুর স্কুল ঘটনা, ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড বিরোধ, শিক্ষক মারামারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শৃঙ্খলা, স্কুলে সংঘর্ষ, নৈতিক সংকট, ডিজিটাল নীতিমালা